আলোর মনি রিপোর্ট: বাংলাদেশ রেলওয়ের বিভাগীয় সদর দফতর লালমনিরহাটে অর্ধশতাধিক জরাজীর্ণ আবাসিক কোয়ার্টারগুলোতে ঝুঁকি নিয়ে চলছে বসবাস। ব্রিটিশ শাসন আমলে নির্মিত এসব আবাসিক কোয়ার্টার দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের কোন উদ্যোগ নেয়নি বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। আবাসিক কোয়ার্টারগুলোর অবস্থা এতটাই খারাপ যেকোন মহুর্তে ধসে পড়ে জানমালের ক্ষয়ক্ষতির আশংকা করছেন এলাকাবাসী। এছাড়া বেশকটি আবাসিক কোয়ার্টার পরিনত হয়েছে নেশাগ্রস্থদের আড্ডাখানায়। অবসরপ্রাপ্ত রেলওয়ে কর্মচারী মোশারফ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, ১৯৬৫ সালে রেলওয়েতে চাকুরী নিয়েছিলাম। তখন থেকে ওইসব কেয়ার্টার দেখে আসছি। দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও এগুলো এখনও সংস্কার না করায় বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
বাংলাদেশ রেলওয় লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক তাপস কুমার দাস সাংবাদিকদের বলেন, ২৫বছর আগে রেলওয়ের পক্ষ থেকে মাইকিং করে কোয়ার্টারগুলো ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছিল। বেড়িয়ে যেতে বলা হয় কিন্তু বসবাসকারীরা এর পরেও বসবাস করলে আমাদের কি করার আছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে লালমনিরহাট বিভাগীয় প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, আবাসিক কোয়ার্টারগুলো সংস্কারের জন্য বরাদ্দ চেয়ে বিভিন্ন সময় আবেদন করা হলেও বরাদ্দ মেলেনি।
রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, ব্রিটিশ শাসনামলে রেলওয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসন ব্যাবস্থার জন্য ৫১টি কোয়ার্টার নির্মাণ করা হয়েছিল। লালমনিরহাট শহরের জন্য সেই আবাসিক কোয়ার্টারগুলো দীর্ঘদিনেও সংস্কারের উদ্যোগ না নেয়ায় এখন জরাজির্ণ হয়ে পড়েছে। ৫১টি কোয়ার্টারের মধ্যে ১৩টিতে বাস করছেন লালমনিরহাট রেলওয়ে বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীর আত্মীয়-স্বজনরা। অধিকাংশ কোয়ার্টার বসবাসের অনুপযোগী জেনে-শুনেও ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছেন তারা। তবে রেলওয়ের ওইসব কোয়ার্টারে বসবাসকারী অনেকেই সাংবাদিকদের জানান, তাদের নিজস্ব জায়গা জমি নেই, নেই কোন ঠিকানা। তাই ঝুঁকি সত্বেও বসবাস করছেন।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, কোয়ার্টারগুলোর বিভিন্ন অংশে বড় বড় ফাটল ধরেছে। ধসে পড়েছে অবকাঠামো বের হয়ে গেছে লোহার রড। দেয়াল, সিঁড়ি, ছাদ, সবখানেই ধসের চিহ্ন। কোন কোন ভবনের ইট খুলে যাচ্ছে। তাই জরাজীর্ণ কোয়ার্টারগুলো জরুরী সংস্কারের দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।